শিক্ষাবর্ষ
শাওয়াল থেকে শাবান পর্যন্ত সর্ব মোট ১১ মাস শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান থাকে।
আর পুণ্যের মাস রমজানে শিক্ষা-কার্যক্রম স্থগিত রেখে শুধুই ছিয়াম ও ক্বিয়ামের জন্য বিরতি ঘোষণা করা হয়।
•মাদরাসার চলমান বিভাগ সমূহ
১. নূরানীমক্তব, নাজেরা ও হিফজ বিভাগ।
২. পর্যায়ক্রমে কিতাব বিভাগে প্রথম জামাত থেকে ‘দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত এবং দাওরার পর উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য বিভিন্ন বিভাগ রাখাও মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও স্বপ্ন। ইনশাআল্লাহ ধাপে ধাপে এ অংশ ও স্বপ্নগুলোও বাস্তবতার মুখ দেখবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আল্লাহ কবুল করেন।
ছাত্র পরিচর্যা
মাদরাসাতুল হারামাইন ‘ছাত্র’কে দ্বীনী আমানত মনে করে। এবং এও মনে করে যে, ছাত্রই সব। ওরা থাকলেই ইলমী বাগান মুখরিত হয়। ওরা না থাকলে এ বাগান বিরান-বিজন নৈশঃব্দে পরিণত হয়। এ জন্য মাদরাসাতুল হারামাইনের কাছে ‘ছাত্র’ সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়। সযতনে ওদেরকে আগলে রাখতে, সর্বোচ্চ মেহনতে ওদেরকে গড়ে তুলতে মাদরাসাতুল হারামাইনের রয়েছে নিজস্ব প্রচুর পরিকল্পনা ও প্রয়োগ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে কলেবর অনেক বড় হয়ে যাবে। শুধু এতোটুকুই বলা যেতে পারে, এ প্রসঙ্গে মাদরাসাতুল হারামাইন কয়েকটি মূলনীতি সামনে রেখে পরিকল্পনা করে থাকে।
তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হলো, হাদীসে জিবরীল। যাতে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালামকে তালিবুল ইলমের বেশ দিয়ে এ বিষয়টিও দৃশ্যায়িত করা হয়েছে যে, একজন তালিবুল ইলমের বেশভূষা, আদব-কায়দা ও ইলম অন্বেষণের তৌর-তরীকা কেমন হওয়া উচিৎ।
দ্বিতীয় আরেকটি মূলনীতি হলো, আলী রাযি. এর বিখ্যাত উক্তি, ‘আল্লাহ তা’আলা তোমার মেহনতে কোনো মানুষকে হেদায়াতের পথে উঠিয়ে নিলে তা লাল উটনীর মালিক হওয়া (যা আরবদের কাছে সবচেয়ে লালায়িত, তার) থেকেও শ্রেয়’। বস্তুবাদী বিজ্ঞান বা দর্শন নয়, বরং এ ধরনের কুরআন-হাদীস ও আসলাফদের ঘটনাভিত্তিক কিছু মূলনীতিকে সামনে রেখে মাদরাসাতুল হারামাইন ছাত্র পরিচর্যার বিভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকে। এবং ছাত্র-মনস্তত্ব নিয়ে কাজ করে থাকে।
চলমান দাওয়াহ কার্যক্রম
১. সকল স্তরের মানুষের জন্য সহীহশুদ্ধ কুরআন পাঠের ব্যবস্থা।
২. দ্বীনের জরুরী ইলম সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস।
৩. দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীনের প্রচার-প্রসার।
৪. ইসলাহী মাজলিসের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ।
৫. সর্বসাধারণের ধর্মীয় সমকালিন সমস্যার সমাধান।
৬. যুগোপযোগী যেকোনো বিষয়ে দ্বীনী খোরাকের ব্যবস্থা করা। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমকে মসজিদভিত্তিক করে আরো ব্যাপক করার পরিকল্পনা রয়েছে।